মনোযোগ দিয়ে পড়ুন - আপনি যখন কোনো অপশনে ক্লিক করবেন তখন ১টি Ads এ আপনাকে নিয়ে যেতে পারে। যোদি Ads এ নিয়ে যায় তাহলে মোবাইলের ব্যাক বাটনটির উপর ক্লিক করে, আবার পুনরায় দ্বিতীয় বার সেই অপশনটির উপর ক্লিক করলেই আপনি কাঙ্ক্ষিত ফাইল টির ডাউলোড লিংক পেয়ে যাবেন।

তান্ডব মুভি ডাউনলোড শাকিব খান Tandav full movie shakib khan

tandav full movie download

তান্ডব মুভি ডাউনলোড শাকিব খান Tandav full movie shakib khan Review:- মাত্রই দেখে আসলাম 'তান্ডব`তাণ্ডবলীলা শিব যেমন তার ডুগডুগি বাজিয়ে মহা তাণ্ডব নৃত্য করেন না, যেটাকে আমরা তাণ্ডবলীলা বলে থাকি, ঠিক সেরকম আমাদের মেগাস্টার শাকিব খান সিনেমা হলের মধ্যেই তার বাটারফ্লাই ডান্সের মাধ্যমে পুরা তান্ডবলীলা চালিয়েছেন।

সৌভাগ্যবশত আমি যেই হলে সিনেমাটা দেখেছি সেই হলে 'তান্ডব মুভি'-এর প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল, ডিরেক্টর রায়হান রাফি, সাবিলা নূর, জয়া আহসানও ছিলেন। দর্শকরা সিনেমা শেষে ওনাদের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে পেরে যারপরনাই খুশি হয়েছিলেন। আমি আগেও বলেছিলাম, সিনেমা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যখন সিনেমা হলে দর্শকদের সাথে এরকম ইন্টারঅ্যাক্ট করেন, সিনেমার দর্শকদের জন্য কিন্তু একেবারে সোনায় সোহাগা একটা এক্সপেরিয়েন্স হয়ে যায়। মানে, পুরা পয়সা উসুল!

সরাসরি তান্ডব মুভি ডাউনলোড করতে নিচে ডাউনলোড লেখায় ক্লিক করবেন।

আমরা ঈদের দিনের ব্যস্ততা একটু কাটিয়েই দৌড় দিয়েছিলাম সিনেপ্লেক্সে। হুড়োহুড়ি করে ঢুকে পড়লাম সিনেমা হলে 'তান্ডব মুভি' উপভোগের জন্য।

মুভির গল্প নিয়ে ছোট্ট করে কিছু কথা বলি। একজন মানুষ দেশের বড় একটা টিভি চ্যানেলের কর্মীদের জিম্মি করে দেশের হর্তাকর্তা রাজনীতিবিদ, পুলিশ অফিসারদের ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে। এর মধ্যে আবার ফ্ল্যাশব্যাকে অন্য ধরনের গল্প চলতে থাকে। গল্প শুরু থেকেই স্লো পেসে এগোতে থাকে, যেটা রায়হান রাফির গল্প বলার একটা স্টাইল বলতে পারেন আপনারা এবং ওনার সিগনেচার স্টাইলের মতো একেবারে ক্লাইম্যাক্সে গিয়ে একটার পর একটা টুইস্ট দিয়ে দর্শকদের পুরা মাথা ঘুরিয়ে দেন। মানে এই সিগনেচার স্টাইলটা 'তাণ্ডব'-এ উনি ধরে রেখেছেন এবং দর্শকদের মনও জয় করতে পেরেছিলেন।

tandav full movie download

শাকিব খান কে নিয়ে নতুন করে বলার কিচ্ছু নাই। ১০ বছর আগের শাকিব খান আর বর্তমানের শাকিব খান তো আগাগোড়াই চেঞ্জ। 'Tandav Movie এ উনি ওনার মেগা অভিনয় উপহার দিয়েছেন। বিদেশি সিনেমাগুলোতে আমরা যেই সাইকোপ্যাথের ক্যারেক্টারগুলো দেখি না, যেগুলোকে দেখে আমরা খুশিতে হাততালি দিয়ে উঠি অনেক সময়—মানে অভিনয়ের দিক থেকে দেখে—ঠিক সেরকমটাই অসাধারণভাবে একটা সাইকো ক্যারেক্টারকে শাকিব খান চমৎকারভাবে পর্দায় তুলে ধরেছিলেন। ওনার এনার্জি, এক্সপ্রেশন, ইমোশন—ভাই রে ভাই! মানে মাথা নষ্ট পুরা! এই লোক একের পর এক যা দেখাচ্ছেন আমাদের, মানে আমার মনে হয়, পর্দায় দেখতে ওনাকে একটুও ক্লান্ত লাগে না। কী চমৎকার সাবলীলভাবে উনি ওনার ক্যারেক্টার যে প্লে করে যান না! ওনাকে নিয়ে যত বলবো কম হবে। ওনাকে নিয়ে বলার কিচ্ছু নাই ভাই! টপ নচ! ১০০ তে ১০০, ১০০ তে হাজার, মানে লক্ষ-কোটিও দিয়ে দেওয়া যায়! ডেডিকেশন অফ মেগাস্টার!

তান্ডব মুভি ডাউনলোড রিলিজ হওয়ার আগেই কিন্তু ক্যামিও চরিত্রগুলো নিয়ে খুব কথাবার্তা হচ্ছিল। তো এখানে ছোট্ট একটা স্পয়লার দেই, আমরা সবাই তো মানে আগ্রহে ছিলাম যে সিয়াম আহমেদ কি ক্যামিওতে থাকবে নাকি আফরান নিশো ক্যামিওতে থাকবে। তো দেখা গিয়েছিল, আবারও বলছি স্পয়লার এলার্ট, সিয়াম আহমেদ এবং আফরান নিশো দুইজনই ক্যামিও চরিত্রে থাকেন। সিয়াম আহমেদ ছোট্ট একটা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এবং ওই চরিত্রে ভাই, যতটুকু সময় উনি পর্দায় ছিলেন, পুরোপুরি পর্দা কাঁপায় গেছেন। আর শেষের দিকে আফরান নিশোর চরিত্রটা জাস্ট, মানে আগুন জ্বালায় দিছে সিনেমা হলে! জাস্ট আগুন জ্বালায় দিছে! মানুষজন, মানে মাল্টিপ্লেক্সের দর্শক সিট থেকে উইঠা লাফালাফি শুরু করে দিছে। কী দেখাইলো! হ্যাঁ, রায়হান রাফি বলেছিল কিন্তু যে উনি এমন কিছু দেখাবেন যেটা কেউ আশাও করে নাই। অবসলি, উনি এমন কিছুই দেখিয়েছেন যেটা একচুয়ালি আমরা কেউ আশা করতে পারিনি। মানে ক্যামিও চরিত্রগুলো নিয়ে এমন একটা খেলা দেখাইছে, একদম পুরা স্ট্রাইক! ফুল অন স্ট্রাইক!

শহীদুজ্জামান সেলিম, আফজাল শরীফ, এজাজুল ইসলামের মতো বাঘা বাঘা অভিনেতারা ছিলেন পার্শ্বচরিত্রে। আমি বলতে কোনো রকম দ্বিধা রাখব না, এই পার্শ্বচরিত্রগুলোও অনেকটা সময় ফিকে হয়ে গিয়েছিল ক্যামিও চরিত্রগুলোর কারণে। এতটা টপ নচ ছিল ক্যামিও চরিত্রগুলো।

তান্ডব মুভি ডাউনলোড

সাবিলা নূরের স্ক্রিন টাইম পর্দায় যতটুকু ছিল, অতটুক ঠিকঠাক। এর বেশি কিছু ওনাকে নিয়ে আপাতত বলতে চাচ্ছি না। চলে যাচ্ছি জয়া আহসানের কাছে। জয়া আহসান দুর্দান্ত কাজ দেখিয়েছেন। পর্দায় যখন শাকিব খানের সাথে টক্কর দিয়ে উনি কাজ করেছেন, দেখতে মারাত্মক লাগছিল। জয়া আহসান কিন্তু মানে পার্সোনালিটি বলেন, ওনার অভিনয় প্রতিভা বলেন, একেবারে এই মাপের। জয়া আহসানের সাথে শাকিব খানের দ্বৈরথটা দেখতে কিন্তু ভালো লেগেছিল, বেশ ভালো লেগেছিল। মানে একদম জমে ক্ষীর! কিছু কিছু জায়গায় ক্লোজ ফ্রেমে জয়া আহসানের এক্সপ্রেশনটা যখন ধরা হয়, উনি যখন ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে চোখের একটু ইশারা করেন, দর্শক হৃদয় একদম মনে করেন যে ৪o৪ হয়ে যায় আমার যেটা মনে হয়। খুবই চমৎকারভাবে ওনাকে প্রেজেন্ট করা হয়েছিল এখানে।

রায়হান রাফির স্টোরিটেলিংয়ের প্রশংসা আপনি এখানে না করে পারবেনই না। কোন চরিত্রটাকে কোথায় দিলে, কীভাবে এক্সপ্রেশন আনলে ভালো লাগবে, দর্শক হৃদয় ৪o৪ হয়ে যাবে, সেই জিনিসটা উনি একেবারে এক চান্সে উতরে গেছেন। উনি জানেন একচুয়ালি কাকে দিয়ে কোন কাজ কীভাবে করে নিতে হয়। ছবির বিজিএম নিয়ে কী বলব আর, মাথা নষ্ট! মানে আপনি যতক্ষণ সিনেমাটা দেখবেন, বিজিএম আপনাকে একেবারে একটা অরার মধ্যে রাখবে। সাউথ ইন্ডিয়ান কিছু মুভি আছে না, দুর্দান্ত বিজিএমের কাজ দেখাইছে, যেমন ‘জেলার’, ‘বিক্রম’। বিক্রমের ওই রোলেক্সের এন্ট্রির যেই বিজিএমটা, ওইটা আমরা কি ভুলতে পারি? মানে ওইটা আমাদেরকে যেইভাবে শিহরিত করেছিল না, ওই সেম টাইপের ফিলিংস কিন্তু আপনি 'তাণ্ডব' দেখতে দেখতেও পাবেন শুধুমাত্র বিজিএমের কারিশমায়।

এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে সিনেমার যে কলাকুশলীরা ছিলেন না, শুধুমাত্র অভিনয়ে না, পর্দার পেছনে যারা কাজ করেছেন, সবাই তাদের কাজ একদম ১০০% এফোর্ট দিয়ে করেছেন, চমৎকার রেসপন্সিবিলিটি নিয়ে করেছেন। এই মুভিটা দেখতে দেখতে এই জিনিসটা খুব ভালোভাবে বোঝা যায়, সবাই সবার কাজটা ঠিকঠাক করে গিয়েছিলেন।

ছবির ডায়ালগ নিয়ে কী বলব আর! ছবির ডায়ালগগুলো খুবই ক্যাচি ছিল। হালের ভাইরাল যেই ডায়ালগগুলো আছে না, যেমন ‘মুরুব্বি, মুরুব্বি, উমমম’, ঠিক আছে? শাকিব খানের মুখে যখন আপনি কিছুক্ষণ পর পর এই ডায়ালগটা শুনবেন, চিন্তা করে দেখেন তো অবস্থাটা কী হবে! মানে এই যে ট্রেন্ডি হুকগুলোকে দর্শকের সাথে কানেক্ট করা, চমৎকার! দ্যাট ওয়াজ দা পাওয়ার অফ স্টোরিটেলিং একচুয়ালি।

'তান্ডব মুভি শাকিব খান' সিনেমার শেষে অ্যানাউন্সমেন্ট ছিল ‘তাণ্ডব ২ ইজ কামিং’।

ছবির অ্যাকশন অবশ্যই ভালো ছিল। শাকিব খানকে অ্যাকশনে তো বিট করা ইম্পসিবল টাস্ক। মানে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র মানেই কিন্তু ফাইট, অ্যাকশন, নাচানাচি এবং এগুলোতে বাংলাদেশে মেগাস্টারকে কিন্তু রিপ্লেস করা যায় না। মেগাস্টার এই জায়গায় পুরাই মেগাস্টার। আর হ্যাঁ, ছবির ফাইট ডিরেক্টর ছিলেন কিন্তু একজন ইন্ডিয়ান। তো ইন্ডিয়ান, যে যিনি কিনা শাহরুখ খানের সাথে ‘জাওয়ান’-এর মতো সিনেমাতেও ফাইট ডিরেক্টর হিসেবে ছিলেন, সেই ফাইট ডিরেক্টরকে দিয়ে যখন শাকিব খানকে ফাইট করানো হয়, তাইলে বুঝেন! একে তো শাকিব খান নাচনে বুড়ি, তার উপর পাইছে ঢোলের বাড়ি। অনেকটা এইরকম।

কে দিলো পিরিতের বেড়া লিচুরও বাগানে... যাইহোক, মানে ইগনোর মাই বেসুরা গলা। এই গানটাকে বড় পর্দায় দেখতে খুবই চমৎকার লেগেছিল। দা গ্ল্যামারাস ওয়ান।

সিনেমাটিকে আমি আমার পার্সোনাল রেটিং দিতে চাইবো ৪.৫ আউট অফ ৫ স্টার। 'তান্ডব ২'-এর জন্য অধীর আগ্রহে এখন থেকেই নড়েচড়ে বসছি। আমার মনে হয় 'তাণ্ডব'-এর তাণ্ডবলীলা 'তাণ্ডব ২'-এ ১০০ গুণ মিনিমাম বেড়ে যাবে, ১০০ গুণ! কী যে দেখব মানে সিনেমা হল ভাই জাস্ট বাস্ট হয়ে যাবে! আই থিঙ্ক সিনেমা হল বাস্ট হয়ে যাবে। সিঙ্গেল স্ক্রিন যেগুলো আছে না, সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলো তো ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। শাকিবিয়ানদের গর্জনে একেবারে অ্যাটম বোমার মতো ফাইটা যাবে আমার যেটা মনে হচ্ছে।

'tandav full movie download '-এর তাণ্ডবলীলা দেখে দর্শক হৃদয় যেমন আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিল, সেরকম আপনারাও আনন্দে আত্মহারা হতে পারেন বার্ডসনেস্ট ক্লাউডের সার্ভিস এবং তাদের প্রোডাক্টগুলো শুনে। বার্ডসনেস্ট ক্লাউড দিচ্ছে খুবই স্বল্প খরচে চমৎকার কিছু কাস্টমাইজড বিজনেস সলিউশন। আপনার যেকোনো ধরনের বিজনেসই হোক, হোক আপনি গার্মেন্টস ব্যবসায়ী, হোক আপনি ছোট একটা ই-কমার্স ব্যবসায়ী। ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের জন্য ওনাদের চমৎকার ই-কমার্স ডিল আছে। এছাড়া যেকোনো ধরনের কাস্টমাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অনায়াসে আপনারা ওনাদের কাছ থেকে নিয়ে নিতে পারেন। আপনারা যদি আরও বিস্তারিত কিছু জানতে চান তাহলে স্ক্রিনে দেখানো নাম্বারগুলোতে কল করতে পারেন, তাদের প্রোডাক্টগুলোর ডেমো আপনারা দেখে নিতে পারেন আর অবশ্যই তাদের ওয়েবসাইটটা ভিজিট করে ফেলতে পারেন।

আচ্ছা, 'তাণ্ডব' সিনেমাটা আপনারা যারা দেখেছেন একটু কমেন্ট করে জানান তো। আর শাকিবিয়ানরা কেমন দেখলেন? একটু কমেন্ট করে জানান তো। সিনেমা হলে যেরকম আপনারা আগুন ধরায় দিছেন না ভাই, কমেন্টেও একটু আগুন ধরায় দেন তো। আপনাদের সাথে আমার মতামতটা একটু মিলিয়ে নেই। আপনাদের জন্যই তো এত কষ্ট করে আমাদের ভিডিওগুলো করা।

এই ধরনের মুভি রিলেটেড কনটেন্টগুলো যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে চ্যানেলটাকে সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না। চাইলে আপনারা টিকটকেও ফলো করে দিতে পারেন। আপাতত এতটুকুই, বিদায় নিচ্ছি। খুব শীঘ্রই দেখা হচ্ছে পরবর্তী কোনো ভিডিওতে। আমি জিএনএম চৌধুরী, আস্তা লা ভিস্তা।

2 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন